নকলার ইউএইচএফপিও মজিবুর রহমান বলেন, আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। আর একজন হোম আইসোলেশনে আছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক সংস্পর্শের কারণে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্য পুলিশ সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।
নালিতাবাড়ীর ইউএইচএফপিও রেহমা সারওয়াত সালাম বলেন, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত এপ্রিলে মাসে ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর চলতি মে মাসে সদর থানার একজন এসআই, একজন এএসআই, একজন কনস্টেবল, জেলা বিশেষ শাখার একজন এএসআই এবং রোববার নকলা থানার দুই কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হলেন। ঝিনাইগাতী থানার দুই এসআই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। আর একজন কর্মকর্তা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, রোববার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ জন। এর মধ্যে ২৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য পুনরায় অনুরোধ জানান তিনি।